Decoding the Red: A Session with Indudipa Sinha and Krishnendu Adhikari

Code Red, a unique theatrical presentation, will be staged for the first time in February 2017 (4th and 15th February, Gyan Manch). This is a play presented by Project Prometheus, based on Rabindranath Tagore’s ‘শিশুতীর্থ’, and inspired from Matei Visniec’s “Body of a woman as a battlefield in Bosnian War”. The play is directed by Indudipa Sinha, and Krishnendu Adhikari is the Assistant Director and Production Controller. Both of them are performing in the presentation as well. 

Here is our short interview session with these two people, which was conducted via Facebook Messenger. We are grateful to both of them for giving us time amidst their busy schedule.



Indudipa Sinha (above) and Krishnendu Adhikari (below)

KMDB- তোমাদের theater এর সাথে সম্পর্ক নিয়ে কিছু বলো। নাটক ও তোমরা- তোমাদের নাট্যজীবন।

ইন্দুদীপা– আমার প্রথম মঞ্চে আসা নাচের মাধ্যমে।বহু বছরের নাচের অভিজ্ঞতা থেকেই আঙ্গিক অভিনয়ের প্রতি আমার একটা গভীর অনুসন্ধিৎসা জন্মায়। তারপর ডাক্তারি পড়ার কারণে মানুষের শরীর এবং তার কর্মপ্রক্রিয়া সম্পর্কে আমার ধারণা আরও স্বচ্ছ হয়। গভীরতর আগ্রহ সৃষ্টি হয়। Dance & movement therapy নিয়ে কাজ করতে গিয়ে মানুষের শরীর ও মনের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক আমার কাছে আরও স্পষ্ট হয়। তারপর ২০০৮ সাল থেকে যখন থিয়েটারে কাজ করতে আসি, তখন এই আঙ্গিক ও বাচিক অভিনয়কে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করার ইচ্ছেটা আমাকে তাড়িয়ে বেড়াতো। আর নাচ- নাটক – কবিতা ইত্যাদি আলাদা আলাদা শব্দ বা ভাষাদের মধ্যে ব্যবধান কমিয়ে অন্য একটা performance language খুঁজে চলেছিলাম। বিভিন্ন দলে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে থিয়েটার করার সুবাদে একটা কথা খুব স্পষ্ট করে বুঝতে পারছিলাম যে performance –এর মাধ্যমে আমার যা যা বলার আছে, তার ক্ষেত্রটা অন্য কেউ তৈরি করে দিতে পারবেনা। সেই জায়গাটা আমাদের নিজেদেরই তৈরি করে নিতে হবে। আমার বক্তব্য এবং তার মাধ্যম নির্ধারণের সিদ্ধান্ত আমাকেই নিতে হবে। সেই জায়গা থেকেই Project Prometheus-এর জন্ম। এটা আমাদের কাছে সেই মঞ্চ, যেখান থেকে আমরা নির্দ্বিধায় উচ্চারণ করতে পারি আমাদের প্রতিবাদের ভাষা, আমাদের অকপট বক্তব্য, আমাদের ভালবাসার প্রতিশ্রুতি।

কৃষ্ণেন্দু– আমি থিয়েটার জগতে একজন নবজাতক বলতে পারো। 2012 থেকে প্রফেশনালিজমের থিয়েটার করছি…শুরু করেছিলাম গ্রুপ থিয়েটার দিয়ে। বিভিন্ন কারণে টিকতে পারিনি। তারপর ফ্রীল্যান্সিং শুরু করি এবং বুঝতে শুরু করি যে তথাকথিত বাংলা থিয়েটার অামাকে স্যাটিসফাই করছে না। কোড রেড- এর গোড়াপত্তন বোধহয় সেখান থেকেই ।

KMDB– Code Red নাটকটি সম্মন্ধে কিছু বলো। এই প্রযোজনা নির্মাণ করার কারণ। 

কৃষ্ণেন্দু– এটা ইন্দু বলবে…

ইন্দুদীপা– আমাদের ব্যক্তিগত বা সমষ্টিগত পারিপার্শ্বিক থেকে জন্ম নেওয়া কিছু প্রশ্ন- অনিশ্চয়তা- দ্বন্দ্ব – দ্বিধা- সীমাবদ্ধতা – আরও আরও অনেক কিছু আমাদের ক্রমাগত তাড়িয়ে বেড়াচ্ছিল। স্থানীয়- জাতীয় বা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের বিভিন্ন চাপানউতোর, তাদের বহুমুখী বিস্তৃতি ও বিবিধ সঙ্কটের প্রতিক্রিয়াকে আমাদের নিজস্ব performance language-এ উপস্থাপন করার অদম্য তাগিদ ও আন্তরিক প্রচেষ্টাই এই নাটক নির্মাণের অন্যতম কারণ। পৃথিবীর যে কোন দেশের যে কোন যুদ্ধে অগুনতি মানুষের অকারন মৃত্যু এবং দখলদারি দলের ক্ষমতা প্রদর্শনের মাধ্যম হিসাবে ধর্ষণের ব্যবহার – মানবসভ্যতার এই দুই কৃষ্ণগহবরের বিরুদ্ধে আমাদের যথাসাধ্য প্রতিবাদের ফসল হল Code Red.

KMDB– এই নাটকটির ধরণ একটু হলেও আলাদা। নাটকটি পরিচালনা বা সহ-পরিচালনা করার প্রক্রিয়া সম্মন্ধে যদি কিছু বলো।

কৃষ্ণেন্দু– এটাও ইন্দুই বলুক

ইন্দুদীপা– পরিচালনার ক্ষেত্রে আমি performer দের কোন কিছু চাপিয়ে দেওয়া বা চামচে করে গিলিয়ে দেওয়াতে বিশ্বাস করিনা। বিভিন্ন psychotherapy  বা dance-movement therapy-র পদ্ধতি ব্যবহার করে performer দের মধ্যে থেকেই আঙ্গিক বা বাচিক অভিনয় বের করে আনার চেষ্টা করেছি। প্রচুর film, documentary, performance  দেখেছি এবং সবাইকে দেখাবার চেষ্টা করেছি। Training-এর থেকে বেশী গুরুত্ব দেবার চেষ্টা করেছি education কে। দলের সবার মধ্যে আদান-প্রদান বাড়াবার জন্য এবং সমষ্টিগত শিল্পসৃষ্টির তাগিদ তৈরি করার জন্য বিভিন্ন কর্মশালার আয়োজন করেছি, residential rehearsal করেছি। আর এই সব কিছু এক জায়গায় এনেই একটু একটু করে তৈরি হয়েছে আজকের Code Red.



KMDB– নাটক নির্মাণের সময় এমন কোনো ঘটনা যা মনে দাগ কেটেছে।

কৃষ্ণেন্দু– প্রচুর…প্রথমত প্রফেশনালিজমের সম্পর্কে নতুন সব নলেজ হল। এছাড়া বুঝলাম এই ধরনের কাজ করার জন্যে রেপার্টরি সিস্টেমে এগোনোই যথাযথ।

KMDB– Code Red প্রথম মঞ্চস্থ হতে আর বেশি সময় বাকি নেই। কি ধরণের প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশা করছ দর্শকের থেকে।

ইন্দুদীপা– মানুষ একটু ভাবুক…ভাবা প্র্যাকটিস করুক। নিজেকে নিয়ে, নিজের চারপাশটা নিয়ে, অন্য মানুষদের নিয়ে ভাবুক। নাচ, নাটক, থিয়েটার, performance এই সব সব কিছুকে একটু খোলা মনে নিতে পারুক। চিরাচরিত ধ্যান-ধারণা বা অভ্যেস থেকে একটু বেরিয়ে আসুক।

কৃষ্ণেন্দু– হয় খুব ভাল নয়তো খুব খারাপ! আসলে আমরা কাজটা শুরু করেছিলাম নিজেদের খিদে মেটাতে। দর্শকদের স্যাটিসফেকশ্নের ব্যাপারটা খুব একটা মাথায় ছিলো না।

Interview Conducted and Blog Edited by Abhirup Sen (Editor-in-Chief, KMDB)

Photographs (except those of Indudipa and Krishnendu) : Dinesh Podder

Leave a comment